ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিশু ও কমবয়সীদের সাধারণ জ্বর বা খিঁচুনি দিয়ে জ্বর হচ্ছে। প্যারাসিটামলেও জ্বর নামছে না। পেট ব্যথা বা পেট খারাপও হচ্ছে। করোনার কিছু উপসর্গের সাথে এই জ্বরের উপসর্গ মিলে গেলেও, আক্রান্ত শিশুরা করোনা নেগেটিভ।
ডেঙ্গুও হয়নি তাদের। তাদের অন্য বেশ কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চার শিশু মারা গেছে। একজন কুচবিহারের ও তিনজন জলপাইগুড়ির।
আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জলপাইগুড়িতে একটি তিন মাসের শিশু মারা গেছে। উত্তরবঙ্গের চার জেলা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ারে ৫৩৩ শিশু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এ ছাড়া হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শয়ে শয়ে শিশু আসছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও বেশ কিছু শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও সাতজন ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া নীলরতন সরকার ও আরজিকর হাসপাতালেও কিছু শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কলকাতার আশপাশের জেলাগুলোতেও এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
পশ্চিমবঙ্গের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দিলীপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘ভাইরাস থেকেই এই জ্বর হচ্ছে। তবে কোন ভাইরাস তা এখনো জানা যায়নি। প্রচুর বাচ্চা এতে আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে তা কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে এসেছে। তবে দুই জায়গাতে ভাইরাস একই কি না, তা বলতে পারছি না।’ দিলীপ সেনগুপ্তের মতে, ‘এই জ্বর থেকে মাল্টি অর্গান ফেইলিওর হচ্ছে। সে জন্যই এটা মারাত্মক।’
মাটি খুঁড়ে অর্ধকোটি টাকার হীরা পেল চার শ্রমিক
ভারতের মধ্যপ্রদেশের চার শ্রমিকের ভাগ্য খুলে নিমিষেই। মাটি খুঁড়ে ৮.২২ ক্যারাটের একটি হীরক খণ্ড পেয়েছেন তারা। এর বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এই চার শ্রমিক প্রায় ১৫ বছর ধরে হিরা খোজার কাজ করছিলেন।
মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলা হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। পান্না জেলার হিরাপুর তাপারিয়া এলাকায় গত ১৫ বছর ধরে একের পর এক জমি লিজ নিয়ে হিরা খুঁজেছেন ওই চার শ্রমিক। তাদের আশা ছিল একদিন হীরা ঠিকই খুঁজে পাবেন তারা।
শ্রমিকদের একজন রঘুবীর প্রজাপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, খনিতে কাজ করার সুবাদে তাদের অভিজ্ঞতা ছিল। এ কারণে ছোট ছোট পরিত্যক্ত খনি লিজ নিতেন হীরা খুঁজে পাওয়ার আশায়। কিন্তু প্রতিবারই তাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
তিনি জানান, এ বছরের শুরুতেই হিরাপুরে একটি জমি লিজ নিয়েছিলেন তারা। গত ছয় মাস ধরে সেই জমিতে হীরা খুঁজতে থাকেন। এই জমিতেই তাদের ভাগ্য খুলে যায়। ওই জমি খুঁড়েই তারা ৮.২২ ক্যারেটের হীরা পেয়েছেন। আজ রঘুবীর নিজেই খুঁজে পেয়েছেন সেই হীরা।
এ বিষয়ে পান্নার জেলা প্রশাসক সঞ্জয়কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, হীরাটি নিলামে তোলা হবে। নিলামে যে টাকা পাওয়া যাবে তার ওপর রয়্যালটি এবং কর কাটার পর বাকি টাকা তুলে দেওয়া হবে চার শ্রমিকের হাতে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা