পটুয়াখালীর বাউফলে দোকানের তালা ভেঙে এক প্রতিবন্ধীর সর্বস্থ চুরি করে নিয়ে নিয়ে গেছে চোর। বুধবার রাতে বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, প্রায় ৩ মাস আগে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় শারীরিক প্রতিবন্ধী অসীম বৈরাগীকে একটি দোকান উপহার দিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বুধবার রাতে চোর দোকানের সবকিছু চুরি করে নিয়ে যায়। এতে আবার নিঃস্ব হয়ে গেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবন্ধী অসীম ও তার বাবা রাধাকৃষ্ণ বৈরাগী গিয়ে ঘটনা অবহিত করেন। রাধাকৃষ্ণ বৈরাগী সাংবাদিকদের বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি দোকান উপহার দেন।
দোকানের পুঁজি হিসেবে খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে দেন। এই দোকানে প্রায় ৩ মাস ধরে ব্যবসা করে আমার ছেলের ভরণ পোষণ দিয়েছি। বুধবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে চোর নগদ ৪ হাজার টাকা ও সব মালামাল নিয়ে গেছে।
আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটির স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনা অবহিত করার পর তিনি আমাদের থানায় যেতে বলেছেন। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিক্ষুককে মৃত দেখিয়ে বয়স্কভাতা বাতিল!
ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক বিধবা বৃদ্ধা ভিক্ষুককে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্কভাতা বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নগরকান্দা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের জগদিয়া বালিয়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৮৩)। কয়েক মাস বয়স্কভাতা পাওয়ার পর হঠাৎ তার বয়স্কভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
নুরজাহান বেগমের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, জমিজমা না থাকায় বৃদ্ধা গ্রামের পাকা সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ছোট একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভিক্ষা করে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনো রকম দুই বেলা ভাত খেতে পারলেও, ভাঙা ঘরে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
নুরজাহান বেগম বলেন, শুনেছি আমাকে মৃত দেখিয়ে, আমার বয়স্কভাতা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমিতো এখনো জীবিত। আমার কোনো ছেলে সন্তান নেই, আমার একটি মেয়ে আছে। অনেক আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। আমি একজন ভূমিহীন বিধবা নারী, আমার কোনো জায়গাজমি নাই।
আমি ভিক্ষা করে যা পাই, তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। যতদিন বয়স্কভাতার টাকা পেয়েছি, তা দিয়ে আমি ওষুধ কিনে খেতাম। আমার বয়স্কভাতা বন্ধ করে দেওয়ায়, এখন ওষুধ কিনতে পারছি না। যদি সরকারের দেওয়া বয়স্কভাতা পেতাম, তাহলে এত কষ্ট করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভিক্ষা করতাম না।
বয়স্কভাতা ফেরত চেয়ে তিনি বলেন, অনেকেই সরকারি ঘর পেয়েছে, কিন্তু আমি ঘরও পেলাম না। সরকার যদি আমাকে জায়গাসহ একটি ঘর দিতেন, তাহলে আমি মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতাম।