বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় গাড়ি খাদে পড়ে আহত হয়েছে দুজন।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বগালেক থেকে ফেরার পথে পর্যটকবাহী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় চাকায় গুলি লাগলে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই কিশোরী আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এবং কী কারণে গুলি চালিয়েছে তা জানা যায়নি। জড়িতদের ধরতে অভিযান নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রেমিকার বিয়ের পরদিন যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়ার পরদিন আরিফ হাওলাদার (২২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার আড়িয়ল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি ওই গ্রামের আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে। আরিফ হাওলাদারের চাচাতো ভাই বাবুল টঙ্গীবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আড়িয়াল গ্রামের আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেন টঙ্গীবাড়ী থানার এসআই টুটুল।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিক জানান, কুমিল্লা জেলার একটি মেয়ের সঙ্গে আরিফ হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির পরিবার শুক্রবার অন্যত্র মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আরিফ। আরিফ ওই মেয়েটিকে অনেক ভালোবাসতেন।
প্রেমিকাকে কাছে না পাওয়ার বেদনায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তারা। এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মাহাবুব আলম সুমন জানান, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আত্মহত্যার সঠিক তথ্য জানা যাবে।
স্ত্রী বাড়িতে নেই, পরকীয়া প্রেমিকাকে এনে জনতার হাতে ধরা
বরগুনার তালতলীতে স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় পরকীয়া প্রেমিকাকে বাড়িতে এনে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়েছেন খলিল হাওলাদার (৫০) নামে ৪ সন্তানের জনক।
পরে রফাদফার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে ওই নারী শুক্রবার বিকালে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার মৃত গয়জদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মুদি ব্যবসায়ী খলিল হাওলাদার এক জাহাজ শ্রমিকের স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
মুদি ব্যবসায়ী খলিলের স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূকে মোবাইলে ডেকে এনে দোকান ঘরের পেছনে লুকিয়ে রাখে।
সন্ধ্যার পরপরই খলিল তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে দোকানের পেছনের রুমে গেলে নারীর শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ করে আড়িপাতে। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরার সময় খলিল দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গৃহবধূর বক্তব্য শুনে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীরা গেলে ম্যানেজে ব্যর্থ হয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
ওই গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী ঢাকার একটি জাহাজে কাজ করেন। কয়েক দিন আগে মোবাইলের মাধ্যমে খলিলের সঙ্গে পরিচয় হয়। আমাকে তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে বললে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি তার বাড়ি বেড়াতে যাই।
রাতে ভাত খেয়ে তার দোকানের পেছনের বাসাবাড়িতে শুয়ে পড়লে খলিল আমাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এলে তাদের লাইটের আলো দেখে খলিল দরজা খুলে পালিয়ে যায়।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খলিলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।