হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার জাদুকর এএসআই আব্দুল কাদের তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশ কমিশনারের থেকে ১৭ তম বার পুরস্কার পেলেন। গুলশান বিভাগের উপ- পুলিশ কমিশনার আজ তাকে এই পুরস্কার তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই আব্দুল কাদেরের অন্যতম নেশা। কর্মজীবনে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত তিন হাজার মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।
মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ডাক পড়ে তার। মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।
২০০৫ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু কাদেরের। ষোল বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেছেন হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়। কোনোটিতে সময় নিয়েছেন পাঁচ দিন, কোনোটির জন্য লেগে ছিলেন দুই বছর। মোবাইল খোঁজার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য তার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আরো পড়ুনঃ ইভ্যালির সিইও-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নতুন মামলা
ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান (তার স্ত্রী) শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা,অর্থ আত্মসাৎ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
মামলায় রাসেল দম্পতি ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
পণ্য সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার দিনগত রাতে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ইভ্যালির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে তিনি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের পণ্য সরবরাহ করেছেন। কিন্তু ইভ্যালি তার পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি।
ধানমণ্ডি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই অমৃতা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি করেন। মামলা পর ওই দিন বিকালেই রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।