জয়পুরহাটের কালাইয়ে চাকরির প্রলোভনে নারীকে ধর্ষণের দায়ে হাবিল উদ্দিন (৩৩) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারা দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কারাগারে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিল উদ্দিন উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে সরকারি কৌঁসুলি ফিরোজা চৌধুরী বলেন, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ বিকালে কালাইয়ের দূরুঞ্জা এলাকার এক নারীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাবিল উদ্দিন নিজের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মারধর করে তাকে রাস্তায় ফেলে দেন। প্রতিবেশীরা ওই নারীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই নারীর বোন কালাই থানায় মামলা করলে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেন।
স্ত্রী বাড়িতে নেই, পরকীয়া প্রেমিকাকে এনে জনতার হাতে ধরা
বরগুনার তালতলীতে স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় পরকীয়া প্রেমিকাকে বাড়িতে এনে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়েছেন খলিল হাওলাদার (৫০) নামে ৪ সন্তানের জনক।
পরে রফাদফার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে ওই নারী শুক্রবার বিকালে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার মৃত গয়জদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মুদি ব্যবসায়ী খলিল হাওলাদার এক জাহাজ শ্রমিকের স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
মুদি ব্যবসায়ী খলিলের স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূকে মোবাইলে ডেকে এনে দোকান ঘরের পেছনে লুকিয়ে রাখে।
সন্ধ্যার পরপরই খলিল তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে দোকানের পেছনের রুমে গেলে নারীর শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ করে আড়িপাতে। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরার সময় খলিল দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গৃহবধূর বক্তব্য শুনে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীরা গেলে ম্যানেজে ব্যর্থ হয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
ওই গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী ঢাকার একটি জাহাজে কাজ করেন। কয়েক দিন আগে মোবাইলের মাধ্যমে খলিলের সঙ্গে পরিচয় হয়। আমাকে তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে বললে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি তার বাড়ি বেড়াতে যাই।
রাতে ভাত খেয়ে তার দোকানের পেছনের বাসাবাড়িতে শুয়ে পড়লে খলিল আমাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এলে তাদের লাইটের আলো দেখে খলিল দরজা খুলে পালিয়ে যায়।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খলিলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।