বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন সংগীতশিল্পী ইভা রহমান। শুধু বিচ্ছেদই নয়, এরই মধ্যে নতুন করে ঘরও বেঁধেছেন তিনি। বিয়ের বিষয়টি ইভা নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ইভার বরের নাম সোহেল আরমান। তিনি ঢাকার ছেলে। পেশায় ব্যবসায়ী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইভার গুলশানের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে ইভা নিজেই জানান।
এর আগে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নতুন স্বামীর সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে ইভা রাহমানকে শুভেচ্ছা জানান দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী। ইভা জানান, এখন থেকে আমার নামের শেষে আর রহমান বলবেন না। আমি এখন থেকে ‘ইভা আরমান’।
ইভা আরও জানান, একদম ঘরোয়া পরিবেশে কাছের কিছু আত্মীয়স্বজন বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। অতীত ভুলে নতুন করে জীবনটা শুরু করলাম। দোয়া চাই, যে বিশ্বাস ও ভালোবাসা নিয়ে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেছি সারাজীবন যেন সুখে থাকি।
ইভা রহমান এটিএন বাংলায় সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদেই মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেখান থেকে দু’জনের প্রেম গাঢ় হয়। তারা বিয়েও করেন। দীর্ঘদিন সংসার শেষে বিচ্ছেদ হয় তাদের।
গতকাল রাজধানীর গুলশানের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ইভা রহমানের স্বামীর নাম সোহেল আরমান। তিনি ঢাকার ছেলে। পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
সকলের কাছে দোয়া চেয়ে ইভা আরমান বলেন, আমার বাসায় একদম ঘরোয়া পরিবেশে কাজের কিছু আত্মীয় স্বজনের নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছি।অতীত জীবন ভুলে যে বিশ্বাস, ভালোবাসা নিয়ে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেছি; সারাজীবন যেন এটা বজায় থাকে।
আরো পড়ুন: স্বামী পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট, তাই সংসার ভাঙেন নুসরাত!
সদ্যই পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান। সন্তানের পিতা হিসেবে জানা গেছে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের নাম। স্বামী নিখিল জৈনের থেকে আলাদা থাকার পর বর্তমানে যশের সঙ্গেই থাকছেন নুসরাত। কি কারণে নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল তা এতদিন না জানা গেলেও ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যমে নুসরাত-নিখিলের সংসার ভাঙার বিস্ফোরক কারণ ফাঁস হয়েছে।
ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, নুসরাতের স্বামী নিখিল উভকামী। মেয়েদের পাশাপাশি পুরুষের প্রতিও তিনি আসক্ত। তার বেশ ক’জন পুরুষ সঙ্গীও আছে। এ বিষয়টি মেনে নিতে পারতেন না নুসরাত। সেজন্যই সরে এসেছেন নিখিলের সংসার থেকে। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নুসরাত। তুরস্কে রাজকীয় বিয়ে সারেন নিখিলের সঙ্গে। কিন্তু তার কিছুদিন পরই প্রেম ও বিয়ের মোহ কাটে এ অভিনেত্রীর। নিখিল নাকি ‘চাহিদা’ পূরণ করতে পারছিলেন না নুসরাতের। বেশিরভাগ দিনই নাকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে বাথরুমেই ঘুমিয়ে পড়তেন।
পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোয় যখন নুসরাত জানতে পারেন তার স্বামী উভকামী। এমন খবরই মিলেছে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে। নিখিলের ‘সঙ্গী’রা নাকি নুসরাতের ভালো বন্ধু ছিলেন। নিখিলের জন্মদিনের রাতে এমনই একজনের সঙ্গে নাকি স্বামীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন অভিনেত্রী। এই ঘটনায় মারাত্মক মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন। নিখিলের জন্মদিনের ঠিক পরপরই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় নুসরাতকে। সে সময় খবর রটেছিল, অত্যধিক ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন সাংসদ। এমনকি অনেক রূপান্তরকামীর সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক ছিল নিখিলের। এর জেরেই নাকি ‘বিয়ে’ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত। যদিও পুরো বিষয়টাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নিখিল।
তার দাবি, তিনি সম্পূর্ণ স্ট্রেট। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই লাইমলাইটে থাকতে মিথ্যা গসিপ বানায়। নিখিল আরও বলছেন, তাঁর স্কুলের ছোটবেলার বন্ধুকে নিয়ে যে ধরনের শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা ন্যক্কারজনক। সেই বন্ধুটির বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে বন্ধুর যৌন সম্পর্কের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতেও যারপরনাই ক্ষুব্ধ নিখিল। তাঁর কথায়, ‘’ও আমার ছোটবেলার বন্ধু। ওর পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠতা। সেই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এত নোংরা ব্যাখ্যা করা হল?’’
এদিকে গত বছর পূজার পর থেকে নুসরাত-যশের ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করে। সেই সম্পর্ক নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে নুসরাতের সন্তানের বাবা হিসেবে যশের নামই দেখা গেছে জন্মনিবন্ধনের সনদপত্রে।