প্রেমিকের খোঁজে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এসে উপস্থিত হয়েছেন বরিশালের বানারীপাড়া এলাকার প্রেমিকা। বিয়ের দাবিতে ওই প্রেমিকা এখন প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন বলে জানা গেছে।
এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের শুকদেবনগর গ্রামের জবেদ মোল্লার ছেলে মো. হুমায়ুন মোল্লা (২৯) ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। একই জায়গায় কাজ করেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বড়করপাকর গ্রামের মো. হাবিব হাওলাদারের মেয়ে মোছা.তানিয়া খানম।কাজের করার সুবাদে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত আড়াই বছর ধরে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক সঙ্গে থাকতেন। এক পর্যায়ে কোনো কিছু না বলে হুমায়ুন সেখান থেকে পালিয়ে যান।
উপায়ন্তর না পেয়ে তানিয়া খানম গত ২১ সেপ্টেম্বর হুমায়ুনের বোয়ালমারীর গ্রামের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। এদিকে, হুমায়ুনের স্বজনরা মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে হুমায়ুনের বাবা জবেদ মোল্লা জানান, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। বিয়ে হয়েছে কি না তাও জানা নেই। হঠাৎ করে ওই মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলের বউ দাবী করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চতুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান খান বলেন, মঙ্গলবার মেয়েটি হুমায়ুনের বাড়িতে এসে উঠেছে। তাদের মধ্যে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল বলে জেনেছি। হুমায়ুন এই মুহূর্তে পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেননি। তবে কেউ আইনগত সহায়তা চাইলে পুলিশ তাকে আইনগত সকল ধরনের সহায়তা করবে।
স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় এস আই ফিরোজ আলম কারাগারে
ফেনীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় এস আই ফিরোজ আলমকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। আদালতে তোলার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয় ফিরোজকে। পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গেল ৮ আগস্ট ফতেহপুর এলাকায় ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে ২০টি স্বর্ণের বার লুটের অভিযোগ করেন গোপাল কান্তি দাস নামে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন তিনি।
গ্রেফতার হয় সাবেক ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামসহ ৩ উপপরিদর্শক ও ২ সহকারী উপপরিদর্শক। ওসি সাইফুল ইসলামের বাসভবন থেকে লুট করা ১৫টি বারও উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় এসআই ফিরোজের সম্পৃক্ততা পাওয়ার তথ্য পাওয়ার পর, নোয়াখালী থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।