বিয়ে বার্ষিকী আরও স্বরণীয় করে রাখতে খুলনায় স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে উপহার দিয়েছেন স্বামী। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই দম্পতির ষষ্ঠ বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী ইসরাত টুম্পার হাতে হাতে জমির দলিল তুলে দিন স্বামী এমডি অসীম। ওই দম্পতি খুলনা মহানগরীর মডার্ণ মোড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।
স্বামীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়, পেশায় একটি বেসরকারী টেলিভিশনের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি। আর স্ত্রীর বাবার বাড়ী খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামে, পেশায় চিকিৎসক। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়। দীর্ঘ ৬ বছরে বিবাহিত জীবনে তাদের ৪ বছর বয়সি একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্বামী এমডি অসীম বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন রয়েছে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে স্পেশাল কিছু উপহার দিব। গত বছর জানতে পারলাম ভারতের এক ব্যক্তি বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে, আমাদের বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘গত ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৪৫ ডলারের বিনিময়ে এ জমি কিনেছি। জমি কেনার পর আমাদের একটি বিক্রয় চুক্তিনামা, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়েছে সংস্থাটি৷’
স্ত্রী ইসরাত টুম্পা বলেন, চাঁদের দেশে এক টুকরো জমি উপহার পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। গত বছর ভারতের একটি ঘটনা দেখে আমার স্বামী ইচ্ছা পোষণ করেছিল।
এবার বিবাহ বার্ষিকীতে সে আমাকে সত্যি সারপ্রাইজ গিফ্ট দিতে পেরেছে। উপহারটি পাওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন স্বপ্নের চাঁদে চলে গেছি।
উল্লেখ্য, চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’।
তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২১২৫ টাকা থেকে ৪২৪৩৭ টাকা।
৪৫ মিনিট পর অলৌকিকভাবে বেঁচে উঠলেন নারী!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বোকা র্যাটন রিজিওনাল হসপিটালে গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর একটি কন্যাশিশু প্রসব করেন ৪০ বছর বয়সী রুবি গ্রাউপেরা ক্যাসিমিরো। মা ও শিশু দু’জনই ভালো ছিলেন। অঘটন ঘটল দু’জনকে রিকভারি রুম থেকে বের করে আনার সময়। এ সময় হঠাৎ অচৈতন্য হয়ে গেলেন প্রসূতি মা, দুই সন্তানের জননী রুবি। হৃদরোগে আক্রান্ত তিনি। ফূল কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্ট।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা মিররের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা জানা, ওই নারীর নাম ক্যাথি প্যাটেন। ওই নারীর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মেয়ের প্রসববেদনা উঠলে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার মেয়েকে ভর্তি করানোর পর তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন।
হাতের পালস দেখে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ক্যাথির মস্তিস্কে অক্সিজেন সঞ্চালন হচ্ছিল না, চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। এরপরেই তাকে সিপিআর দেওয়া শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাকে সিপিআর দেয়া হয়। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৪৫ মিনিট পর আবারও শ্বাস নিতে শুরু করেন তিনি।
তার পালস রেট পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা এই অসম্ভব ঘটনা সত্য হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। ক্যাথির এই ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যাথি জানান, তিনি তার নাতিকে দেখার জন্যই এই দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন।