বারবার ট্রাফিক পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের সামনেই নিজের মোটরবাইকে আ’গুন ধরিয়ে দেন এক বাইকার।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘ’টনা ঘটে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ঘ’টনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়,
একজন বাইকার পু’লিশের সামনেই তার নিজের মোটরবাইকে আ’গুন ধরিয়ে দেন। আশেপাশের মানুষ আ’গুন নিভাতে আসলে তিনি তাতে বাধা দেন।
বাড়ি তার ভা’রতে, চাকরি করেন সিলেটে।
এমনই অ’ভিযোগ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের এক বড় ক’র্তার বি’রুদ্ধে। অন্য একটি দেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিভাবে তিনি কাজ করছেন তা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় স’ম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সিলেট জোনের অ’তিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার বি’রুদ্ধে এই অ’ভিযোগ উত্থাপিত হয় সংসদীয় কমিটিতে। সিলেটে থাকলেও প্রায় তিনি অ’বৈধভাবে ভা’রতে যাওয়া আসা করেন।
ওই কর্মক’র্তার বি’রুদ্ধে রয়েছে নানা দু’র্নীতিরও অ’ভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে ত’দন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। সচিব আর একজন যুগ্ম সচিবকে দিয়ে ত’দন্ত করেছেন। সেই ত’দন্তে তুষার কান্তি সাহাকে দোষীও করা হয়নি, আবার ছাড়ও দেওয়া হয়নি।দায়সারাভাবে ত’দন্ত হওয়ায় প্রতিবেদনটি আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি। এজন্য সচিবকে দিয়ে নতুন করে ত’দন্ত করাতে বলা হয়েছে। সচিব না পারলে অন্তত অ’তিরিক্ত সচিব ম’র্যাদার কাউকে দিয়ে ত’দন্ত করার কথা বলেছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এসংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সচিবকে বলা হয়েছে।