মসজিদে নামাজ পড়ে দীর্ঘ সময় রেললাইনে বসে ছিলেন। এমন সময় স্টেশনে আসে বনলতা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি দেখেই নিচে ঝাপ দেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে সোনালিয়া রেলক্রসিং এলাকায় শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল ইসলাম (২৮) সখীপুর উপজেলার দেওবাড়ি চাকলা পাড়া এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে। তবে তিনি কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আড়াই মাস আগে শরিফুলের সঙ্গে বাসাইল উপজেলার নাইকানী বাড়ি (মতির ভাটা) এলাকার আইয়ুব খানের মেয়ে আমেনা বেগমের (১৮) বিয়ে হয়। বিয়ের আগে শরিফুল দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ তিনি শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন।
রেলওয়ে পুলিশের ঘারিন্দা ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাঈমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমার ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ প্রথম বিয়ে গোপন রেখে ছাত্রীকে বিয়ে করলেন মাদরাসা শিক্ষক
সাতক্ষীরায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে রেখে নিজ মাদরাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে বাল্যবিবাহের অভিযোগ উঠেছে। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক খায়রুল ইসলাম ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মুসলিম সানার ছেলে ও মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক।
জানা গেছে, মানিকহার দ্বিমুখী মাদরাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানিকহার গ্রামের আব্দুল মাজেদের কন্যা শান্তা খাতুন। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুঁসলিয়ে গত কায়েক মাস পূর্বে শান্তাকে বাল্যবিয়ে করেন তিনি। অথচ তিনি ১১ বছর আগে ওমরপুর এলাকার ওহাব মোড়লের কন্যা তানিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী থাকার পরও তিনি তার প্রতিষ্ঠানের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এ শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার ১ম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তাকে বিয়ে করেছি। শান্তা খাতুনকে বিয়ের সময় শান্তা খাতুনের বয়স একটি কম থাকলেও ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শান্তার বয়স এখন ১৯ বছর। বর্তমানে সে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী।
বাল্যবিয়ের শিকার শান্তার পিতা আব্দুল মাজেদ বলেন, খায়রুলকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তো। কিন্তু সে যে এত বড় টাউট তা আমি জানতাম না। আমার একমাত্র মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করায় আমার স্ত্রী এবং আমি মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসা সুপার ফজলুর রহমান জানান, শুনেছি খায়রুল শান্তাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খায়রুল ইসলামের ১ম স্ত্রীর ভাই আজহারুল ইসলাম জানান, ১০/১১ বছর পূর্বে তার বোনের সাথে খায়রুলের বিয়ে হয়। সে সময় খায়রুলের কিছুই ছিল না। আমরা টাকা খরচ করে তাকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছি। খায়রুল চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক করে। এ নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিকবার শালিসও হয়েছে। সম্প্রতি জানাতে পেরেছি খায়রুল প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে তার প্রতিষ্ঠানের ১০ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছে।