বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে হেরে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। জয়ের বিকল্প নেই বাকি দুই ম্যাচে।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকে বাংলাদেশ। ৩য় ওভারে সাইফ বিদায় করেন কোয়েৎজার কে।
এরপর তারা গুছিয়ে উঠতে শুরু করলে বাধা হয় মেহেদি। ক্রস কে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরান তিনি। একই ওভারে ফেরান মুনশে কে। বেরিংটন কে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে মালিঙ্গার সর্বোচ্চ ১০৭ উইকেট স্পর্শ করেন সাকিব। এক বল পর লিস্ক কে ফিরিয়ে একক ভাবে হয়ে যান সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর স্কটিশদের সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয় ক্রিস গ্রেভস। ২৮ বলে ৪৫ করেন তিনি। তাতে শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৪০ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২য় ওভারে সৌম্যের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৫ রানে ফেরত যান তিনি। আরেক ওপেনার লিটনও ফেরত যান ৫ রানে।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ কে গোছানোর চেষ্টা করেন সাকিব ও মুশফিক। যদিও তারা অনেক রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। সেট হয়ে আউট হন দুইজনেই।
সাকিব ২০ করেন ২৮ বলে ও মুশফিক করেন ৩৬ বলে ৩৮ রান। ধীরে ধীরে প্রেসার বাড়তে থাকে বাংলাদেশের উপর। আফিফ চেষ্টা করলেও ১২ বলে ১৮ করে বিদায় নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি কারও চেষ্টা, তাতে ৬ রানে হেরে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্কটল্যান্ডের হেড কোচ শেন বার্জার মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশ দলকে তারা রাখছে পাপুয়া নিউগিনি ও ওমানের সাথে একই কাতারে।
এবার কোচের সাথেই যেন যোগ দিলেন দলটির ব্যাটসম্যান প্রেস্টন মমসেস। ওমানের কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল সুবিধা পেলেও কন্ডিশন ভিন্ন হলে বাংলাদেশ দল প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়তো এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
মমসেন বলেন, ‘’আমি মনে করি, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুই দলই পরের ধাপে যাবে। যদি ভিন্ন কন্ডিশনে খেলা হতো তাহলে হয়তো আমি এমনটা ভাবতাম না। এখানকার কন্ডিশন প্রায় তাদের ঘরের মতোই।‘