ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে শনিবার বিকালে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও মুসল্লিদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের ভাষ্যমতে, লাবিব ওই ঘটনার উস্কানিদাতা ও পরিকল্পনাকারী।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ২টার দিকে শহরের মধ্যম রামপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে লাবিবকে গ্রেফতার করা হয়। লাবিব ওই এলাকার সাইফুদ্দিন মাহমুদের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র্যাবকে জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী বড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে দুই বন্ধু মুন্না ও সফীকে নিয়ে হাতে এক বোতল পেট্রোলসহ তারা কালী মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে ব্যাপক মারধর ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় তারা।
ফেনীর র্যাব-৭ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মো: জুনায়েদ জাহেদী জানান, গ্রেপ্তার লাবিবের বিরুদ্ধে নাশকতা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
রোববার দুপুরে ট্রাংক রোডের কালিবাড়ি মন্দির পরিদর্শন শেষে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম এ ইউসুফ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
ওই ফুটেজ দেখে লাবিব নামে এক যুবককে শনাক্ত করার পর রাতেই আটক করা হয়েছে। সে ফেনী সরকারি কলেজের অনার্স-এর শিক্ষার্থী।
এদিকে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে আবদুস সালাম জুনায়েদ ও ফয়সাল আহমেদ আল আমিন নামে আরও দুজনকে আটক করার কথা জানান র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক ইমরান খান।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক নাশকতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”