দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দির, মণ্ডপ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা নানান স্লোগান দিচ্ছেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা বলছেন, ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে’, ‘মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই।’
কুমিল্লার ঘটনার জেরে দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবার। সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
আরো পড়ুনঃ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরে বাড়িঘরে আগুন, আটক ৪২
রংপুরের পীরগঞ্জে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪২ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দ এবং জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির নের্তৃবৃন্দ।
স্থানীয় এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রোববার রাতে ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘুদের পরিবারে হামলা চালায় প্রতিবেশীরা। পরে ঘটনার রেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বড় করিমপুর কসবা গ্রামে। রাতের আধারে গ্রামের ২৫ বাড়িতে আগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে দুর্বৃত্তদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় পুড়ে ছাই হয় ৬৬ পরিবারের সহায় সম্বল।
জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার জানিয়েছেন, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক ও সংখ্যালঘুদের জান মাল নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাবসহ ১৬ প্লাটুন বিজিবি। ফায়ার করা হয় ৬১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল। রাতভর অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ৪২ জনকে। ইতিমধ্যে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।