ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা ও ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চিত্রনায়ক আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। মিথ্যা তথ্যে আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার মেয়ে কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর৷
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বাবার মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর পর মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে আঁখি লিখেছেন, ‘আব্বু সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। দয়া করে অমানুষের মতো গুজব ছড়াবেন না। আপনারাও কোনো বাবা-মায়ের সন্তান। এত ঘৃণ্য কাজ কীভাবে করতে পারেন?’
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে আলমগীরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ফেসবুক পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, এই নায়ক আর নেই। বেশ কিছু আইডি ও পেজে পোস্ট দিয়ে তার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলমগীর ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে পরিচালক ও প্রযোজকসহ অনেকের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছিল।
এদিকে এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খান।
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন সময় অভিনেতা রাজ্জাক, এটিএম শামসুজ্জামানসহ একাধিক তারকার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছিল বেশ কয়েকবার। তাদের মধ্যে বেশি গুজব ছড়ানো হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে।
এখনো অন্তরালে পপি
একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা পপি করোনাকালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন। মাঝে মধ্যে নাটকেও অভিনয়ে দেখা যেত তাকে। কয়েক মাস আগে নিয়মিত অভিনয়ের ফাঁকেই আকস্মিক অন্তরালে চলে যান তিনি।
প্রথমদিকে পপির এ অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিক মনে করেছিলেন মিডিয়া সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে ততই ধোঁয়াশা তৈরি হতে থাকে। বিশেষ করে চ্যানেল আই প্রযোজিত এবং রাজু আলীম ও মাসুমা তানি পরিচালিত ‘ভালোবাসা প্রজাপতি’ নামের একটি ছবির শুটিং অর্ধসমাপ্ত রেখেই নিরুদ্দেশ হন পপি। এটি ছাড়া আরও কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পপি। কিন্তু সবাইকে অপেক্ষায় রেখে অন্তরালবাসী হন এই চিত্রনায়িকা।
তার এ অনুপস্থিতির কারণে মিডিয়ায় নানা মুখরোচক কথা চাউর হয়েছে। কেউ বলছেন তিনি বিয়ে করে সংসারি হয়েছেন। আবার অনেকেই বলছেন যে পপি সন্তানসম্ভবা। যারা কারণে তার বর্তমান সময়ের অবয়ব কাউকে দেখাতে চাইছেন না। তাই একেবারে লুকিয়ে জীবনযাপন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবারের লোকদের সঙ্গেও থাকছেন না তিনি এবং পরিবার থেকে নাকি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন পপি। কিন্তু তাকে নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা চললেও এখন পর্যন্ত মিডিয়ায় কিংবা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে নিজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে মুখ খোলেননি পপি। কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল তিনি গাজীপুরের এক বাগান বাড়িতে বসবাস করছেন। কিন্তু বর্তমানে এ খবরটিরও সত্যতা নির্ণয় করা যাচ্ছে না।
কেউ কেউ আবার বলছেন যে, পপি হয়ত দেশান্তরী হয়েছেন। তবে তার ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের হয়ত পপির ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কিন্তু আদৌ তিনি মিডিয়ার সামনে আসবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কা আছে অনেকের মনে।