কুমারী পরিচয়ে বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় শাহরীন ইসলাম নীলা (২৪) নামে এক নারীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে আদালত মামলার অপর দুই আসামি নীলার মা রাজিয়া বেগম ও বাবা শাহআলমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিকের আদালত আসামির অনুপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ১৬ জুন ঢাকার খুলনা জেলার রূপসা থানা নৈহাটি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে
ইমরান শেখ মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এ মামলা করেন। মামলাটি আদালত সরাসরি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। পরবর্তী সময়ে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহণ করেন।
মা’মলায় বলা হয়, আসামি নীলা নিজেকে কুমারী পরিচয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই বাদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। বিবাহের পর বাদী জানতে পারেন, আসামির পূর্বে আরো একাধিক বিয়ে করেছেন।
তিনি নিজেকে প্রতারণামূলকভাবে কুমারী পরিচয় দিয়েছেন। কুমারী পরিচয়ে একাধিক বিবাহ করে পরবর্তী সময়ে তালাক প্রদান করে দেনমোহরের টাকা আদায় করেছেন।
প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন বড়ছড়া-বুরুঙ্গাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার রোকসানা আক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও সময়মত স্কুলে না আসার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এসব অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তারা। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বড়ছড়া-বুরুঙ্গাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গেইটের সামনের রাস্তায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
তবে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে মতবিরোধের জেরে তার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে বড়ছড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান খান অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা আক্তার এই স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে কোন দিনেই সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। শুধু তাই নয়, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ওই শিক্ষিকা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। এমনকি তিনি ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা স্কুলে আসে কোনকিছু জানতে চাইলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাই আমার এই শিক্ষিকার অপসারণ চাই।
স্কুলের এক ছাত্রীর নানী জুবেদা খাতুন মানববন্ধনে বলেন, আমার নাতি ৩য় শ্রেণিতে পড়ে। এই সুবাদে আমি বিভিন্ন সময় স্কুলে আসি। কিন্তু কোনদিনেই প্রধান শিক্ষিকাকে দেখিনাই। ৩ বছর হয়েছে তাকে আমরা চিনিনা
ছাত্রী অভিভাবক ও বড়ছড়া গ্রামের বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার মেয়ে এই স্কুলের পড়ে। আমার মেয়েরা জানায় ম্যাডাম মাসের পর মাস স্কুলে আসেন ১১ টার পরে। এসেই ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেন। মেয়ে বাড়ি এসে কয়দিন পরপরই বলে প্রধান শিক্ষিকা বলেছে, কাল ৫০ টাকা দেওয়া লাগবো, ওমুক দিন ২০ টাকা দেওয়া লাগবো। আমরা গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাবো।
জানা গেছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের ২৯ তারিখ রোকসানা আক্তার চৌধুরী তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া-বুরুঙ্গাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিয়ম অনুয়ায়ী সকল ৯ টায় স্কুলে আসার কথা থাকলেও তিনি তা না মেনে স্কুলে আসেন এগারোটার পর।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা আক্তার চৌধুরী তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার সাথে এলাকাবাসীর স্কুলের কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছে। তাই তারা আমার ওপর এরকম মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।