মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাধিক বিয়ে করার দায়ে নীলা নামের এক তরুণীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ পারভেজ সুমন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
পারভেজ সুমন বলেন, প্রধান আসামি নীলা পলাতক রয়েছেন। তাকে পলাতক দেখিয়ে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিচারক আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, বিচারক রায়ে নীলার মা রাজিয়া বেগম এবং বাবা শাহ আলমকে খালাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রায়ে আসামি নীলা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়না জারি করেছে আদালত। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, বাদী ইমরান শেখ ২০১৬ সালের ১৬ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেন। মামলার পরে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
আরজিতে বাদী বলেন, ২০১৪ সালের জুলাইতে আসামি নীলার সঙ্গে বাদীর দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। সে বিয়ের আগেও একাধিক বিয়ে হওয়ার কথা নীলা তখন গোপন করেন। পরবর্তীতে বাদী জানতে পারেন, নীলা আগেও তথ্য গোপন করে বিয়ে করেছেন এবং পরে তালাক দিয়ে দেনমোহরের টাকা আদায় করেছেন।
জামিন পেয়ে যা বললেন নাসির
ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী এয়ারলাইনস কোম্পানি সৌদিয়ার কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মিসহ
তিনজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য আসামি হলেন তামিমার মা সুমি আক্তার। ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এ তিন আসামি তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায়
আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।জামিন পাওয়ার পর ক্রিকেটার নাসির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন,
আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট, আদালত সবদিক বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করেছেন। এর আগে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা আদালতে হাজির হন।
এরপরেই তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক তাদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।