নিয়মরক্ষার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শেষ চারে যাওয়ার আশা আর নেই। এই ম্যাচ শেষেই বাংলাদেশের বিমান ধরবেন ক্রিকেটাররা। তবু অজিদের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতলে একটু হলেও মুখ রক্ষা হবে। নিজেদের মনকে এই বলে সান্ত্বনা দেওয়া যাবে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। অন্যদিকে ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের।
ঘরের মাঠে স্লো অ্যান্ড স্পিনিং ট্র্যাকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে বড় সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখিয়ে বিশ্বমঞ্চে পা রাখে বাংলাদেশ। আর সেই আশাতেই গুড়েবালি পড়ে প্রথম পর্ব থেকেই। ওমানের উইকেটে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই ঘাম ঝরে টাইগারদের। হেরে যায় স্কটিশদের সঙ্গে। এরপর ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনিকে হারানো গেলেও, সুপার টুয়েলভে হার সবকটি ম্যাচে।
বাংলাদেশ আজ ঘরের মাঠে উড়িয়ে দেওয়া সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। তবে সেই অস্ট্রেলিয়া আর এই অস্ট্রেলিয়ার বিস্তর পার্থক্য। দলে ফিরেছেন অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল থেকে শুরু করে সব বড় তারকারা।
মানরক্ষার এই ম্যাচে বাংলাদেশের চিন্তায় থাকবে আর একটা বিষয়। আর তা হলো র্যাঙ্কিং। আইসিসির সবশেষ দেওয়া টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিয়ের টাইগারদের অবস্থান ৯ নাম্বারে। এ ম্যাচ জিতলে র্যাঙ্কিয়ের সাতে চলে আসবে টাইগাররা। আর হেরে গেলে অবস্থার একি থাকবে।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলার শর্ত হলো, ফাইনালে খেলা দুই দল ছাড়া ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত র্যাংকিংয়ের সেরা ছয়ে থাকতেই হবে। ধরে নেওয়া যায়, এবারের বিশ্বকাপ জিতবে র্যাঙ্কিয়ে সেরা ৮-এ থাকা কোনো দল। সেক্ষেত্রে অন্তত ৮-এ থেকে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করলেই চলবে বাংলাদেশের।
অবশ্য হেরে গেলেও একটা সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্রে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশের। সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তাহলেই আটে থেকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সরাসরি খেলতে পারবে বাংলাদেশ।