ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় হাদিসা আক্তার পপি (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। তবে মৃ’ত্যু’ আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন তিনি।
সেখানে উঠে এসেছে, এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্র’তা’র’ণার শিকার হয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করতে বাধ্য হন ওই ত’রু’ণী। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বসে টাকার পরিমাপে মীমাংসার চেষ্টা করে।
এতে ক্ষোভে রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির ট’য়’লে’টে ফাঁ”স দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেন ওই ত’রু’ণী। নিহত ত’রু’ণীর নাম হাদিসা আক্তার পপি (১৭)।
তিনি ময়মনসিংহ নগরীর মুমিনুন্নিছা সরকারি ম’হি’লা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় ব’র্ষের ছা’ত্রী। তার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজলার উচাখিলা ইউনিয়নর মরিচারচর নামাপাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের তহুর উদ্দিনের তিন মে’য়ে ও এক ছেলের মধ্যে তৃতীয়। তার স’ঙ্গে প্রতিবেশী মোনায়েম মিয়ার প্রে’মে’র স’ম্পর্ক গড় ওঠে। মোনায়েম একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমীর আলীর ছেলে।
মৃ’ত্যু’র আগে একটি চি’র’কুট লিখে যায় প’পি। পুলিশের মাধ্যমে হাতে পাওয়া চিঠিতে লেখা ছিল, ‘মোনায়েম তুমিই ভালো থেক। সরল মনে তোমাকে ভা’লো’বে’সে’ছিলাম। কিন্তু তুমি আমার ভালোবাসাটা বুঝলে না।
আমি আমার এই ক’ল’ঙ্কি’ত মুখ নিয়ে আর বেঁচে থাকতে চাই না। তোমাকে সরল মনে ভালোবেসে কী অপরাধ করেছিলাম জানি না। তুমি ভালো থেক। আমি তো তোমার কাছে আগে যাইনি, তুমিই তো আমাকে আগেই ভালোবেসেছো। আমি বুঝতে পারিনি তোমার অভিনয়। সুখে থেক। সারাটা জীবন অনেক ভালো থেক, এটাই চাই।’ চিঠিতে আরও লেখা হয়, ‘আমি বুঝতে পারিনি, তুমি আমার স’ঙ্গে কেন এমন করলে। কি ক্ষতি করেছিলাম তোমার এমন, জানি না। আমি জীবন দিয়ে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। দে’হ দিয়ে নয়। তুমি শুধু আমার দেহটাই বেছে নিয়েছিলে। আমি তো তোমায় সরল মনে ভালোবেসেছিলাম।’ ঈশ্বরগঞ্জ থা’না’র ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রে’মে’র সম্পর্কের পর বি”য়ে করতে রাজী না হওয়ায় ওই ত’রু’ণী আ’ত্ম’হ’ত্যা করেছে। খবর পেয়ে ম’র’দে’হ উ”দ্ধার করে ম”র্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আ’ত্মহ’ত্যা’র প্ররোচনার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।