নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ১৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বিজয়কে (আনারস মার্কা) নগদ টাকাসহ আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতিসর্ব বিদ্যা। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ষাট হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভোট চলাকালে ১৩ নং রসুলপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী
মাহবুবুর রহমান বিজয়কে নগদ ষাট হাজার টাকাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতিসর্ব বিদ্যা ও বিজিবি আটক করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
‘স্যার বলছে আমি রাইট আছি, কিন্তু আমার ভোট অন্যজন দিয়া দিছে’
“সকাল ৮টার তোন রোদ্রের মধ্যে লাইনে দাঁড়াইয়া দুপুর ১টা বাজে বুথে গেছি ভোট দিতে। তখন স্যার বলছে, ‘আমি রাইট আছি, আমার ছবি নাম-ঠিকানা ঠিক আছে, কিন্তু আমার ভোট অন্য একজন দিয়া দিছে।’
গত বছর বাড়িত থাইকাই হুনছি মাইন্সের ভোট নাকি দিয়া দেয় কেন্দ্রে যাওন লাগে না। এইবার আইছিলাম ভোট দিতে তাও পারলাম না।” ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এভাবেই মনের আক্ষেপ প্রকাশ করেন ভোলার দৌলতখান
উপজেলার উওর জয়নগর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সনজু হাওলাদার বাড়ির কহিনুর বেগম (২৫)। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে ভোলার দৌলতখান উপজেলার উওর জয়নগর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড শেখ রাসেল মেমোরিয়াল বিদ্যালয় অ্যান্ড বঙ্গবন্ধু কলেজে ভোট গ্রহণ চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ভোট কক্ষে পুলিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অবহিত করলে তারা একে অপরের কাঁধে দোষ চাপান। এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম মাওলা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী ডিউটি করতে আসছি।
আমরা কেউই এই এলাকার নই। কেউ জালভোট দিলে আমাদের চিহ্নিত করার সুযোগ নেই। এটা প্রার্থীর এজেন্টরা চিহ্নিত করে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষ মাত্র ভুল হয়। এটা ভুলবসত আরেক জনের নামের উপরে টিক চিহ্ন পড়েছে।
এতে আমার পুলিং অফিসার ও প্রার্থীদের এজেন্টদের ভুলের কারণে এমনটা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।এছাড়াও উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিচ্ছিন্ন কেন্দ্রগুলোতে কিছু অপ্রিকর ঘটনায় প্রার্থী ও সমর্থকদের জরিমানা করা হয়েছে।