মুরগি পালন একটি লাভজনক এবং মহৎ পেশা। মানুষের খাদ্য সরবরাহ করা একটি পুণ্যময় কাজ। দেশের আমিষের ঘাটতি পূরণ সহায়ক এটা। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও একটা বিশেষ অবদান রাখা যায়। মহান আল্লাহর একটি সৃষ্টি পাখিকে বিশেষ যত্ন নেয়ার ফলে পরকালে রয়েছে মূল্যবান পুরস্কার। তাই মুরগি পালনের মাধ্যমে আর্থিক লাভ অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে অশেষ সওয়াবও হাসিল করা যায়।








এ মুরগি পালনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অনেক বিষয়ের। সেজন্য মুরগির জীবন চরিত্র সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। কিছু বিষয় মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক আর কিছু বিষয় মুরগির উৎপাদন হ্রাস করে। মারা যায়ও অনেক মুরগি। মুরগির এমন কিছু বদঅভ্যাস লক্ষ করা যায়, যার ফলে মুরগির কাক্সিক্ষত মান অর্জনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এসব অবস্থার মধ্যে ক্যানাবলিজম, ডিম খাওয়া, কুচে হওয়া, পালক খাওয়া ইত্যাদি অন্যতম। তাই মুরগির এসব বদঅভ্যাসকে চিহ্নিত করে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুব জরুরি। তাই এগুলো নিচে আলোকপাত করা হলো।








এটা মূলত বড় মুরগির ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এবং লেয়ার মুরগির বদঅভ্যাস। এ অভ্যাসের কারণে মুরগির পায়ুপথের নরম মাংশে আঘাত করে রক্ত গ্রহণ করে। এর ফলে মুরগির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং মুরগির উৎপাদন কমে যায়। অনেক সময় এর ফলে মুরগির মৃত্যও ঘটে থাকে। আর মুরগি যদি একবার রক্তের স্বাদ পায় তাহলে সে অন্য মুরগিকে ঠোকরাতে থাকে এবং এ অভ্যাসটা পুরো ফ্লকে ছড়িয়ে পড়ে।
নিম্নোক্ত এক বা একাধিক কারণে মুরগির ক্যানাবলিজম হয়ে থাকে-








মুরগি কোনো জীবাণু বা কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্তত তাকে আলাদাকরণ খুব প্রয়োজন। আর এ চিকিৎসার যদি কোনো ঘাটতি হয় এবং যদি দেরি হয় তাহলে অন্য মুরগি সেই আক্রান্ত মুরগিকে নতুন করে ঠোকরানো শুরু করে। আর এ অবস্থায় যদি কোনোভাবে রক্তের স্বাদ পায় তাহলে সেই মুরগির মধ্যে এ ঠোকরানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। এবং এটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে খামারের অন্য মুরগির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, যা সহজে রোধ করা কষ্টকর।