নরসিংদীর পলাশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হাদিউল্লাহ নামে এক যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তারই এক আত্মীয়। গত সোমবার রাতে পলাশের গজারিয়ার নোয়াকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত হাদিউল্লাহ জানান, প্রায় ১৫ দিন পূর্বে তার চাচি বৃষ্টি আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে বৃষ্টি আক্তারের বোনজামাই পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে জালাল মিয়া গত সোমবার দুপুরে হাদিউল্লাহর মোবাইলে কল দিয়ে তাকে একটি কাজ দেয়ার কথা বলে সন্ধ্যায় নোয়াকান্দা আসতে বলে। তার কথা মতো সন্ধ্যায় নোয়াকান্দা আসলে রাতে জালাল ও তার ভাতিজা সাজ্জাত হোসেন স্থানীয় নিমতলা নামক স্থানে একটি কলাবাগানে নিয়ে হাদিউল্লাহকে শাড়ি কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে জালাল। পরে দু’জনে মিলে দা দিয়ে প্রথমে বাম হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলে দেয় জালালকে। একই কায়দায় ডান হাতের কব্জিও আলাদা করে ফেলা হয়। পরে তাকে ধরে বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় ফেলে চলে যায় তারা। এ অবস্থায় হাদিউল্লাহ রাস্তার পাশে বাড়িঘর দেখে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার মাধ্যমে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। নরসিংদী জেলা ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জানান, রাত প্রায় ৪টার দিকে দু-হাতের কব্জি কাটা একটি রোগী পুলিশ নিয়ে আসলে তাকে জরুরি সেবা দেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, অভিযুক্ত জালাল একজন চিহ্নিত পলাতক আসামি। তার নামে পলাশ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। আহতকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। থানায় মামলা হলে পরবর্তীতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া হাদিউল্লাহর বাড়ি একই জেলার শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বারৈগাঁও গ্রামে। বাবার নাম খোরশেদ মিয়া। তিনি শিবপুর উপজেলা গেটে খসরু মিয়ার মিষ্টির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।